১১ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ২কোটি ১১ লাখ।এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে বেড়েছে নারীর সংখ্যা। মোট জনসংখ্যা ১৬কোটি ৫১লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন ও নারীর সংখ্যা ৮কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
বুধবার (২৭জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম।
শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমেছে।এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিলো ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১সালে ছিলো ১.৫৮ শতাংশ,১৯৯১ সালে ছিলো ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিলো ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে।
১০ বছর অন্তর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করার কথা থাকলেও এবারের জনশুমারি অনাকাঙ্ক্ষিত কোভিড-১৯ সহ প্রথম প্রকল্প পরিচালকের অবসরে যাওয়া ও দ্বিতীয় প্রকল্প পরিচালকের অদক্ষতার কারণে ২০২১ সালের জনশুমারি বার বার পিছিয়ে গিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে গণনা শুরু হয়।বর্তমান পিডি মো. দিলদার হোসেন দায়িত্ব নেবার পরই গতি পায় এই জনশুমারি কার্যক্রম।