টুইটার অধিগ্রহণের পরেই ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেসলা স্টক মার্কেটে ১২৬ বিলিয়ন ডলার মূল্য হারিয়েছে।
রয়টার্সের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা টুইটারের কারণেই টেসলা’র সিইও ইলন মাস্ক তার ২১ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার তহবিল বিক্রি করবে।
যদিও টেসলা টুইটারের চুক্তির সঙ্গে জড়িত নয়, তবে ইলন মাস্ক নিজেও বলছে না টুইটার কেনা অর্থ কোথা থেকে এসেছে। এরপরপরই শেয়ারগুলি ব্রোকারদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার টেসলার শেয়ারে ১২ দশমিক ২ শতাংশ দাম কমে মাস্কের ২১ বিলিয়নের সমান হয় যা দিয়ে টুইটারের চুক্তি করেছেন।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজ বিশ্লেষক ড্যানিয়েল আইভস বলেছেন, মাস্কের আসন্ন শেয়ার বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ এবং টুইটার তাকে বাধা দিচ্ছে এমন সম্ভাবনা টেসলা’র শেয়ারের ওপর চাপ দিচ্ছে।
টেসলা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেননি।
সোমবার টুইটারের মূল্য ছিল ৫৪ দশমিক ২০ শতাংশ যা মঙ্গলবার তিন দশমিক নয় শতাংশ কমে ৪৯ দশমিক ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ওন্ডার সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক এড মোয়া বলেন, “যদি টেসলা’র শেয়ারের মূল্য ফ্রি পতনে অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি মাস্কের অর্থায়নকে হুমকির মুখে ফেলবে।”
টেসলা’র সাথে একটি চুক্তির অংশ হিসাবে, মাস্ক তার টেসলা’র শেয়ারের সাথে সংযুক্ত ১২ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্জিন ঋণও উত্থাপন করেছে। তিনি ইতিমধ্যে তার টেসলা’র শেয়ারের প্রায় অর্ধেক ধার নিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের অধ্যাপক ডেভিড কির্শ, বলেছেন বিনিয়োগকারীরা মাস্ক ঋণের “মার্জিন কল ক্যাসকেড” সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেছে।
গত ১৪ এপ্রিল টুইট করে ইলন মাস্ক বলেন, তিনি নগদে ৪ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে টুইটারের সব শেয়ার অর্থাৎ টুইটারের মালিকানা কিনে নিতে আগ্রহী এবং টুইটারকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে চান।
মাস্কের এমন প্রস্তাব অনুযায়ী, টুইটারের প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৫৪ দশমিক ২০ ডলারে। জানুয়ারিতে তিনি যখন কোম্পানিটির শেয়ার কেনা শুরু করেছিলেন, তার চেয়ে প্রস্তাবিত এই মূল্য ৫৪ শতাংশ বেশি।